ইন্ডাস্ট্রিয়াল বায়োগ্যাস
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং পরিবেশগত পরিবর্তন আমাদের বিশ্বকে একটি কঠিন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সিভিলাইজেশন এবং ডেভলপমেন্ট – CO2, CH4, প্যাথোজেন এর মত অনেকগুলি স্বাস্থ্য ঝুকির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এটা সবারই জানা যে ফসিল ফুয়েল অফুরন্ত নয় যা একদিন ফুরিয়ে যাবে। ফসিল ফুয়েলই মূলত এনার্জির মূল উপাদান। ফসিল ফুয়েল শেষ হয়ে গেলে পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে যাবেনা। তাই মানুষ প্রতিনিয়ত রিনিউয়েবল এনার্জির সোর্স যেমন- Biogas, Solar, Wind, Wave ইত্যাদি থেকে শক্তি অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে।
২০০৯ সালে আমরা সফলভাবে দুটি আধুনিক বায়োগ্যাস প্রকল্প প্যারাগন এগ্রোতে হস্তান্তর করেছি যা পোল্ট্রি ফার্মের বিষ্ঠা নির্ভর।
- প্রকল্প – ১ চামিয়াদি, ভালুকা, ময়মনসিংহে CSTR ডাইজেস্টর পরিমাণ ১৩৫০ কিউবিক মিটার।
- প্রকল্প – ২ মেম্বার বাড়ী, গাজীপুরে ১৩৫০ কিউবিক মিটার ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ডাইজেস্টর। এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ তাদের ব্রিডার ফার্মের বিভিন্ন প্রয়োজনে, লাইটিং প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য ইউটিলিটিগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদ্যুতের পাশাপাশি এই প্ল্যান্টের CHP ইউনিট থেকে উৎপাদিত প্রচুর পরিমাণে গরম পানি পাওয়া যায় যা ফার্মের শ্রমিকরা তাদের গোসল এবং পরিছন্নতার কাজে ব্যবহার করে।
Bio-Slurry বায়োগ্যাসের গুরুত্বপূর্ণ অবশিষ্টাংশ। প্যারাগন এগ্রো তাদের নিজস্ব চা বাগান এবং ফল, ফুল এবং সবজি বাগানে এই Slurry সার হিসাবে ব্যবহার করছে। সত্যিকার অর্থে বায়ো-গ্যাসের অবশিষ্টাংশ এই বায়ো-স্যালারি উন্নত জৈব সার হিসাবে সারা পৃথিবীতে ব্যবহৃত হইয়ে থাকে যেখানে NPK-এর পরিমাণ আদর্শ মাত্রার। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই বায়ো-স্যালারি চল্লিশ থেকে ষাট গুনিতক ডায়েউলেশন করে ইনসেকটিসাইড হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
এই দুটি বায়োগ্যাস প্রকল্প হল বাংলাদেশের একমাত্র বায়োগ্যাস প্রকল্প যা আধুনিক CSTR প্রযুক্তি নির্ভর। ডাইজেস্টর, ২০০৯ সালে হস্তান্তর করার পরে প্ল্যান্ট দুটি এখনও তেমন কোন মেইন্টেইনেন্স ছাড়াই চলছে। এটি বাংলাদেশে বায়োগ্যাসের একটি সফল কাহিনী, যেখানে প্যারাগন এবং চিকস এবং ফিডস গ্রীন এনার্জির লক্ষ্যে একসাথে কাজ করেছিল।