আপনি কি ফিড মিল করার কথা ভাবছেন?
নতুন ফিডমিল শুরু করতে কয়েকটি বিষয়ের উপর সবসময় গুরুত্বারোপ করতে হয়। আপনাদের ধারনার জন্য কিছু প্রাথমিক বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হল।তবে বিনিয়োগ যদি অপর্যাপ্ত হয় তাহলে এরকম প্রকল্প শুরু না করাই ভালো।
প্রয়োজনীয় জমির পরিমানঃ একটি ফিড মিলের জন্য কতোটুকু জমি দরকার তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কারণ ফিডের পরিমান, ফিডের ধরন, গুদামজাত খাদ্যের পরিমান, অফিস, বাসস্থান, পরিবহন ব্যবস্থা, বিভিন্ন অবকাঠামো, ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর জমির পরিমান নির্ভর করে। এই বিষয়গুলোর জন্য যে পরিমান জমির দরকার তা হিসাব করে নেয়া ভালো।সাধারনত ২ থেকে ৫ একর জমি একটি ফিডমিলের জন্য আদর্শ। প্রকল্পটির পাশেই যদি গাড়ী পার্কিং অথবা ট্রাক রাখার জায়গা থাকে সেক্ষেত্রে এর থেকে কম পরিমান জমি হলেও চলবে। জমির পরিমান বেশী হলে ক্ষতি নেই সেক্ষেত্রে ফিড মিলে সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরী করে নেয়া যায়।
ফিডের প্রকারভেদঃ
ক) কোর্স ফিডঃ লেয়ার ফিড, কেটল ফিড, ইত্যাদি
খ) পিলেট ফিডঃ পোল্ট্রি ফিড, সিন্কিং (ডুবন্ত) ফিস ফিড, শ্রিম্প ফিড, কেটল সাপলিমেন্ট ফিড, ইত্যাদি
গ) এক্সট্রুডেড ফিডঃ ফ্লোটিং (ভাসমান) ফিস ফিড, পেট ফুড, শ্রিম্প ফিড, ইত্যাদি
ঘ) টিএমআর (টোটাল মিক্সড রেশন)ফিডঃ কেটল ফিড
বিভিন্ন প্রকার ফিড থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন ধরনের ফিড তৈরি করবেন। আপনি একসাথে মাছের ডুবন্ত ও ভাসমান ফিড অথবা পোল্ট্রি পিলেট ফিড ও কোর্স ফিড তৈরীর প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি আপনি একসাথে পোল্ট্রি ও মাছের ফিড তৈরীর প্রযুক্তিও নিতে পারেন সেক্ষেত্রে অবশ্য একটির সাথে আরেকটির কাঁচামালের সংস্পর্শের সম্ভাবনা থাকে। দেখা গেছে অনেকেই প্রথমে এভাবে শুরু করে এবং ফিডের ভালো বাজার তৈরী হয়ে গেলে তারা প্রত্যেকটিকে আলাদা আলাদা লাইনে তৈরি করে।
ক) কোর্স ফিডঃ লেয়ার ফিড, কেটল ফিড, ইত্যাদি
খ) পিলেট ফিডঃ পোল্ট্রি ফিড, সিন্কিং (ডুবন্ত) ফিস ফিড, শ্রিম্প ফিড, কেটল সাপলিমেন্ট ফিড, ইত্যাদি
গ) এক্সট্রুডেড ফিডঃ ফ্লোটিং (ভাসমান) ফিস ফিড, পেট ফুড, শ্রিম্প ফিড, ইত্যাদি
ঘ) টিএমআর (টোটাল মিক্সড রেশন)ফিডঃ কেটল ফিড
বিভিন্ন প্রকার ফিড থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন ধরনের ফিড তৈরি করবেন। আপনি একসাথে মাছের ডুবন্ত ও ভাসমান ফিড অথবা পোল্ট্রি পিলেট ফিড ও কোর্স ফিড তৈরীর প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি আপনি একসাথে পোল্ট্রি ও মাছের ফিড তৈরীর প্রযুক্তিও নিতে পারেন সেক্ষেত্রে অবশ্য একটির সাথে আরেকটির কাঁচামালের সংস্পর্শের সম্ভাবনা থাকে। দেখা গেছে অনেকেই প্রথমে এভাবে শুরু করে এবং ফিডের ভালো বাজার তৈরী হয়ে গেলে তারা প্রত্যেকটিকে আলাদা আলাদা লাইনে তৈরি করে।
ফিডমিলের উৎপাদনক্ষমতাঃ এটিও অবশ্যই আপনার পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে হবে। ফিডের বাজার যাচাই করে এবং ফিডের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ফিডমিলের উৎপাদনক্ষমতা সম্পর্কে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশে এবং আপনার এলাকায় গত ১৫-২০ বছরে ফিডের চাহিদা কি পরিমান ছিল তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে কতোটুকু ফিডের চাহিদা বাড়বে তা এখনই ভেবে রাখতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে ফিডের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে হয়তো প্রকল্পটির সম্প্রসারণ করা সম্ভব নাও হতে পারে।
ফিডমিলের উৎপাদনক্ষমতা ঘন্টায় হিসাব করা হয়। আপনি ৩-৪ মেঃটন/ঘন্টা, ৫-৭ মেঃটন/ঘন্টা, ১০-১২ মেঃটন/ঘন্টা, ২০-২২ মেঃটন/ঘন্টা, ৩০-৩২ মেঃটন/ঘন্টা অথবা আরো বেশি উৎপাদনক্ষমতার ফিডমিল শুরু করতে পারেন।
ফিডমিলের উৎপাদনক্ষমতা ঘন্টায় হিসাব করা হয়। আপনি ৩-৪ মেঃটন/ঘন্টা, ৫-৭ মেঃটন/ঘন্টা, ১০-১২ মেঃটন/ঘন্টা, ২০-২২ মেঃটন/ঘন্টা, ৩০-৩২ মেঃটন/ঘন্টা অথবা আরো বেশি উৎপাদনক্ষমতার ফিডমিল শুরু করতে পারেন।
বিনিয়োগঃ জমির পরিমান, ফিড মিলের ধরন, স্থাপনা নির্মাণ, মেশিনপত্র, ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন বিষয়ে আপনার সিদ্ধান্তের উপর বিনিয়োগের পরিমান নির্ভর করবে।
ঝুঁকির সম্ভাবনাঃ যদি ফিডের মান ভালো হয়, শক্তিশালী বাজার তৈরী করা যায়, খামারী ও ডিলারদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী ও পারস্পরিক সহযোগীতা থাকে তবে বিনিয়োগটা লাভজনক হবে এবং দ্রুত মূলধন উঠে আসবে। আর যদি তা না হয় তবে ফিড ব্যবসায় বেশীদুর অগ্রসর হওয়া যাবে না।
উপদেশঃ সবকিছু বিবেচনা করে বাজার সম্পর্কে গবেষণা করুন এবং আগামী ১৫-২০ বছরের কথা চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে অগ্রসর হন।